বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি

ইদ্রিস আহমেদ, মালিক, হোটেল কল্লোল, মোটেল জোন
লাবনী পয়েন্ট, কক্সবাজার ও তার স্ত্রী এবং ওয়ারিশগন।

সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাইতেছে যে, আমি ইদ্রিছ আহমেদ (৮০), পিতা-মরহুম আব্দুল আজিজ, সাং-হোটেল কল্লোল কমপ্লেক্স, মোটেল জোন, লাবণী, কক্সবাজার, মালিক, হোটেল কল্লোল কমপ্লেক্স, ঠিকানা: ঐ। হোটেল কল্লোল এর ওয়ারিশ আমার স্ত্রী- শামসুন নাহার বেগম, স্বামী- ইদ্রিছ আহমেদ, সাং-ঐ। আমার কন্যা হোসনে আরা আরজু, স্বামী আলহাজ্ব মোঃ ইলিয়াছ, এমপি, কক্সবাজার-১ হাসিনা আক্তার রিটা, স্বামী-মোঃ আলমগীর, মোহসীনা আকতার বকুল, স্বামী-শান্তনু মহসিন। আমি এবং আমার ওয়ারিশগণের পক্ষে জানাইতেছি যে, আমার মালিকানাধীন হোটেল কল্লোল কমপ্লেক্স। আমি এখনো আল্লাহর রহমতে আমার স্ত্রী ও আমার কন্যাদের সেবাযতেœ তাদের বাসায় থাকি। আমি একটি রোড এক্সিডেন্ট করে প্রায় ৩ বছর ধরে আমার হোটেলে নিয়মিত আসা-যাওয়া করিতে পারিতেছি না। এমতাবস্থায় আমি মৌখিকভাবে আমার ওয়ারিশগণ, স্ত্রী, পুত্র ও কন্যারাসহ দেখভালের জন্য দায়িত্ব অর্পণ করি। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় আমার একমাত্র পুত্র সন্তান আশরাফ উদ্দিন আহমেদ আমার মালিকানাধীন হোটেল কল্লোলকে এককভাবে ভোগ করার জন্য বিভিন্নভাবে ছলচাতুরী করিয়া আসিতেছে এবং সবেচেয়ে মর্মাহত হইয়াছি যে, আমার মালিকানাধীন হোটেল কল্লোল কমপ্লেক্স থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করিতেছে আমার একমাত্র সন্তান আশরাফ আহমেদ। এখন সে ষড়যন্ত্র করিয়া আমার হোটেল কল্লোল কমপ্লেক্স মার্কেটে একাধিক দোকানের ভাড়ার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তদুপরি হোটেলেরও। যা আমার সম্পূর্ণ বিনা অনুমতিতে এবং যারা আমার মালিকানাধীন হোটেল কল্লোল কমপ্লেক্সে দোকান গৃহের ভাড়াটিয়া তাদেরকে আমার কাছে সরাসরি দেখা করে ভাড়া পরিশোধ করিতে বাধা প্রদান করিতেছে আশরাফ উদ্দিন আহমেদ। আমার অন্যান্য ওয়ারিশগণের মতোই সেও একজন। তাই সে এককভাবে দোকানগৃহ বা হোটেল ভাড়া দিতে পারিবে না এবং ভাড়ার টাকা ও হোটেলের রুম ভাড়ার টাকা নিতেও পারিবে না। সে অবৈধ ও অন্যায়ভাবে আমার মালিকানাধীন হোটেল ও দোকানগৃহ বা রুম ভাড়া দেওয়ার কোন এখতিয়ার রাখে না। সম্প্রতি আমার সন্তান আশরাফ উদ্দিন আহমেদ একটি দোকানগৃহ ভাড়া চুক্তিনামা সম্পাদন করিয়াছে। সেটা আইনের কোন ধারা ও উপধারায় গৃহীত হইবে না। সে ক্ষমতা তার এককভাবে নাই। যেহেতু আমি মালিক এখনো বেঁচে আছি। দোকানগৃহ ভাড়া সম্পর্কিত যারা তার সাথে আর্থিক লেনদেন করিতেছেন সেটা আপনারা আপনাদের নিজ নিজ দায়িত্বে করিবেন। সেটার জন্য আমি ইদ্রিছ আহমেদ, আমার স্ত্রী ও আমার তিন কন্যা এবং আমার মালিকানাধীন হোটেল কল্লোল কমপ্লেক্সের উপর বর্তায়বে না। সম্প্রতি আমি কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেছি। তাই আমি পত্রিকার মাধ্যমে সর্বসাধারণের অবগতির জন্য এই মর্মে আবারোও সুস্থ মস্তিষ্কে, স্বজ্ঞানে আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাইতেছি যে, আমার সন্তান আশরাফ উদ্দিন আহমেদ আমার মালিকানাধীন হোটেল কল্লোল ও মার্কেটে কোন ধরনের, কাহারো সহিত চুক্তিবদ্ধ হইতে পারিবে না বা কাউকে সম্পদ দেওয়ার মতো যোগ্যতা রাখেনা। আমার মালিকানাধীন সমস্ত সহায় সম্পত্তি বিক্রয়/ভাড়া আমি নিজে সম্পাদন করিব দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে। আর আমার সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি পাওয়ার পরও যদি কেউ কোন ধরনের আমার সহায় সম্পত্তি ও হোটেল কল্লোল এবং মার্কেটের বিষয়ে অবৈধ চুক্তিপত্র বা লেনদেন করেন সেটা আপনারা বুঝবেন। তার দায়-দায়িত্ব আমি এবং আমার অন্যান্য ওয়ারিশরা নিবেন না।

তারিখ: ০৫/১১/২০১৭ইং
নিবেদক

১. (ইদ্রিস আহমেদ, মালিক, হোটেল কল্লোল)
২. (শামছুন নাহার বেগম, স্ত্রী)
৩. (হোসনে আরা আরজু, বড় কন্যা)
৪. (হাসিনা আকতার রিটা, মেঝ কন্যা)
৫. (মোহসিনা আক্তার বকুল, ছোট কন্যা)
হোটেল কল্লোল কমপ্লেক্স ও মার্কেটের মালিক ও ওয়ারিশগণ
প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন : ০১৮৭১১৩৬৮৪২